খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা সীমান্ত অতিক্রম করে ৮৮ বাংলাদেশি চাকমা উপজাতি ভারতে আশ্রয় গ্রহণের যে তথ্য বিএসএফ দিয়েছে তার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফের দেয়া তালিকা অনুযায়ী খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন উপজাতীয় গ্রামে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিএসএফ কথিত ঐ চাকমাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করার চেষ্টা করলেও বিজিবির তত্পরতার কারণে তারা ব্যর্থ হয়। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টায় খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ভারত সীমান্তের নন্দকুমার পাড়া (জানমারা) নামক স্থানে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিজিবির মেজর রবিউল হাসান জানান, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের দেয়া তালিকার ব্যক্তিদের ছবিসহ নতুন করে নাম পরিচয় সম্বলিত তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তিনি জানান, তারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে প্রমাণিত হলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার আগরতলার একটি দৈনিক ও একাধিক সংবাদ মাধ্যমে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৫-৩০টি চাকমা পরিবার সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ত্রিপুরার অমরপুর মহকুমার সীমান্তবর্তী গন্ডাছড়া এলাকায় আশ্রয় নেয়ার খবর প্রকাশিত হয়।