
মাত্র ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওবার্তা যেখানে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট এ দাড়িয়ে পাকিস্তানের সাংসদ, প্রাক্তন স্পিকার ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন) নেতা আয়াজ সাদিক বলছেন ”সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন শাহ মাহমুদ কুরেশি। পিপিপি ও পিএমএল-এন প্রতিনিধি ও সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়াও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও ওই বৈঠকে আসার কথা থাকলেও আসেননি। পাক সেনাপ্রধানও যে ভারতের ভয়ে গলদঘর্ম তাও স্পষ্ট করেছেন আয়াজ। তাঁর কথায়,” পা কাঁপতে কাঁপতে বৈঠকে ঢুকেছিলেন জেনারেল বাজওয়া। তিনি ঘামছিলেন। বিদেশমন্ত্রী তখন বলেন,”খোদার দোহাই ছেড়ে দাও অভিনন্দন বর্তমানকে। নইলে রাত ৯টার মধ্যে হামলা করবে ভারত। ” যা ইতি মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিও প্রসঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান বি এস ধানোয়া বলেন,” অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্পই ছিল না পাকিস্তানের কাছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তার উপরে সেনাবাহিনীর চাপও ছিল। উনি যে ভাবে বলছেন (সাদিক) জেনারেল বাজওয়ার পা কাঁপছিল, সেটা সম্ভব হয়েছে সেনার তিন বাহিনী স্থল, জল ও বায়ুসেনা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বলেই।ঈশ্বর না করুণ সে দিন যদি পাকিস্তান আমাদের ঘাঁটিতে হামলা করত, ওদের ফরওয়ার্ড ব্রিগেডকে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল আমাদের। সেটা ওরা জানে। সাধারণভাবে সম্ভাব্য হামলার আগে ওরা নিজেদের শক্তিও যাচাই করে নিয়েছে। “
গত বছর ২৭ফেব্রুয়ারি উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ ফাইটার জেটকে গুলি করে নামান। কিন্তু তাঁর নিজের মিগ-২১ও ক্র্যাশ করে, তিনি প্যারাস্যুটে করে নামেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সে সময় তাঁকে কবজা করে পাক সেনা। ধরা পড়ার সময় অভিনন্দন তাঁর সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পাশের নালায় ফেলে দেন, কিছুটা চিবিয়ে গিলে ফেলেন। তিনি পাকিস্তানের কবজায় রয়েছেন জানতে পেরে ভারত সরকার ইসলামাবাদকে নির্দেশ দেয়, তাঁকে বিনা শর্তে ফেরাতে হবে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান তাতে রাজি হয়, ২৮ তারিখই পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, অভিনন্দনকে ফেরত পাঠাচ্ছেন তাঁরা।