হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়ের বিল্ডিং, অগ্নিগর্ভ গোবরডাঙ্গা

সূত্রের খবর, কুড়ি বছর আগে এক বৃদ্ধা তার সম্পত্তি স্থানীয় গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত কে দানপত্র করে দিয়ে যান। বৃদ্ধা ইচ্ছা প্রকাশ করে লিখে যান তার মৃত্যুর পরে ওই জমিতে একটি মন্দির ও একটি গার্লস স্কুল তৈরি করুক সরকার। ওই জায়গার বেশকিছু দিন আগে থেকে একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করে বর্তমান রাজ্য সরকার। বিল্ডিংটি নির্মাণের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা কী করা হচ্ছে জানতে চাইলে, আধিকারিকরা জানায় অনুষ্ঠানের জন্য ভবন এবং মার্কেট তৈরি হচ্ছে। পরে দেখা যায় ওই ভবনের সামনে লেখা সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়। এরপর এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দানপত্র করা জমির ১০০ মিটারের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সংঘ ও বিবেকানন্দ মঠের অফিস রয়েছে। মৃত্যুর পর পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল। অনেকদিন ধরে ওই জমিতে বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। এলাকার সকলে জানেন ওখানে কারিগরি স্কুল তৈরি হচ্ছে। ভয়ানক কান্ড ঘটে সোমবার, এলাকার মানুষ দেখেন বিল্ডিংএর মাথায় বড়ো বড়ো করে লেখা হয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের বোর্ড। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ শুরু করেন। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর শুরু করে ভবনে। অবরোধ করে হাবরা বসিরহাট সড়ক, রাস্তার মধ্যে টায়ারে আগুন ধরিয়ে ও কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে। তাদের দাবি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় শুধুমাত্র সংখ্যালঘু দের জন্য কর্মসংস্থান এবং মাদ্রাসা বিষয়ক শিক্ষা দপ্তর কেন?