উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত মাটিকুমড়া গ্রাম। হিন্দু সংহতির কর্মীদের আন্দোলনের ফলে চাপে পড়ে গ্রামের অবৈধ মসজিদের লাউড স্পিকার নামিয়ে নিতে বাধ্য হলো মুসলিমরা। ঘটনাটি বিস্তারিত বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটি বছর| মাটিকুমড়া গ্রাম মূলত হিন্দু বহুল গ্রাম, কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগেই ওখানে মুসলিমদের আবাস বাড়তে থাকে।২০১১ সল্ নাগাদ স্থানীয় মুসলিম এবং কিচ্ছু মুসলিম সংগঠনের সহযোগিতায় সেখানে একটি মসজিদ গড়ে ওঠে, এবং যথারীতি পাঁচ বেলার নামাজ লাউড স্পিকারে পড়া হতো, এলাকার হিন্দু সংহতির যুবকরা প্রতিরোধে তা বন্ধ করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর পার হওয়ার পরেও হঠাৎ গত ঈদ থেকে মসজিদে আবার লাউড স্পিকার বাজানো হতে থাকে। এমনকি গোহত্যার পরিকল্পনা ও চলতে থাকে | ২০১১ সালের পর থেকেই ধীরে ধীরে বাইরের থেকে মুসলিম দের আমদানি চলতে ঘটিয়ে এলাকার মুসলিম সংখ্যা বাড়িয়ে তোলা হয় কিছু স্থানীয় মুসলিম দুস্কৃতি (নিজাম গাজি, পিতা- জিয়ার গাজি , টুনি মন্ডল, পিতা- সাবে মন্ডল, রমজান গাজী, সাজাহান মন্ডল, সেজোখোকা হজরত মন্ডল) -দের নেতৃত্বে | এলাকার হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে বলে যে তাঁরা নাকি মসজিদে লাউড স্পিকার লাগানোর অনুমতি পেয়ে গিয়েছে | প্রসঙ্গত, সকল মুসলিমদের মত এরাও শাসক দলের ঝান্ডার তলায় আশ্রয়ে ছিলো। তাই এলাকার হিন্দুরা আবার হিন্দু সংহতির দ্বারস্থ হয় এবং মাটিকুমড়ার হিন্দুদের হয়ে এগিয়ে আসে অসিত দাস, অরূপ কান্তি পাল, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মুকুল ব্যানার্জী, VHP র দীপঙ্কর শীল এবং অন্যান্য হিন্দু নেতৃত্ব। যার মূল নেতৃত্বে ছিলো হিন্দু সংহতির যুবকরা। এইবার স্থির করা হয় আর অন্য পথ নয় সোজা ডাইরেক্ট অ্যাকশনের পথ বেছে নেওয়া হবে। হিন্দু যুবকরা মারমুখি হয়ে উঠেছিল এই আরব্ধ কাজ বন্ধ করার জন্যে।শেষ পর্যন্তগতকাল ১৫ই আগস্ট, মুসলিমরা প্রবল চাপে পড়ে লাউড স্পিকার খুলে নিতে বাধ্য হয়। হিন্দু সংহতির পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হয় যে জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে মাস পিটিশন জমা দেওয়া হবে বেআইনিভাবে মসজিদে লাউড স্পিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে।
হিন্দু সংহতির কর্মীদের আন্দোলনের ফল- অবৈধ মসজিদের লাউড স্পিকার নামিয়ে দিতে বাধ্য হলো মুসলিমরা
