সময় বদলেছে, শাসক বদলেছে। কিন্তু হতভাগ্য হিন্দুর সুদিন ফেরেনি। বাম জমানায় লাল ঝান্ডার আড়ালে জিহাদি মুসলিমরা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুর ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। সেই দীর্ঘ অত্যাচার রাজনীতির সংঘর্ষের পরিচয়ে হিন্দুর সামনে তুলে ধরেছে মিডিয়া। ফলে এ রাজ্যের আপামর হিন্দু বুঝতেই পারেনি যে রাজ্যের অন্য প্রান্তে হিন্দুর ওপর জিহাদের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে।
বর্তমানে শাসকদল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু হিন্দুর ওপর অত্যাচার বিন্দুমাত্র কমেনি। টার্গেট সেই একই- হিন্দু; মার খেয়ে, ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালানো হিন্দু। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এবার টিএমসির ঝান্ডা নিয়ে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের হিন্দুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো সশস্ত্র জিহাদি মুসলিমরা। পুড়ে গেল ঘর-বাড়ি, ধানের গোলা, হিন্দুর দোকানঘর।
ঠিক আগের মতোই কোনো মিডিয়া দেখতে পেল না সেই ঘটনা। সেই আগের মতোই এই ঘটনাকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বলে চালানোর চেষ্টা করছে একদল লোক। এর মধ্যেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন কিছু হিন্দু। তাঁরা জানেন না, তারা ভোট দিতে গ্রামে ফিরে আসতে পারবেন কিনা। তবুও পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গভীর নেশায় বুঁদ।
কিন্তু আজ পশ্চিমবঙ্গের তামাম হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্ন- এর শেষ কোথায়?
একবারও কি আপনারা ভেবে দেখবেন না ঝান্ডার আড়ালে টার্গেট আপনি, আপনার মন্দির, আপনার সম্পত্তি?
ঝান্ডার আড়ালে মার খাওয়াই কি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুর ভবিষ্যৎ?
শুধুই কি মার খাবেন? নাকি পাল্টা মার দেবেন?