গত ২০শে এপ্রিল, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত তমলুকের শ্রীরামপুরের এগ্রিকালচার হাইস্কুলের হোস্টেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র শরিফুল গাজীর অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর স্কুলের প্রধানশিক্ষক জানান যে এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করবে। কিন্তু মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকজন সে কথা শুনতে চাননি। তারা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সময় স্কুলে অল্প ভাঙচুর চালানো হয়। কিন্তু পরেরদিন ২১শে এপ্রিল,শনিবার আসরে নামে জিহাদি মানসিকতার মুসলিম সংগঠন অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি এসোসিয়েশন (আইমা)। ঐদিন রাত্রে তারা বিক্ষোভের নাম করে দূর দূরান্ত থেকে কয়েকহাজার মুসলমানকে জড়ো করে। তারা হাতে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর নাম করে স্কুলের আশেপাশে থাকা একের পর হিন্দু দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্কুলের সামনে থাকা একটি টিফিন স্টলে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং দোকানটি পুরো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাশে থাকা একটি একটি টালির বসতবাড়ি ভাঙচুর করে মুসলিম জনতা। এছাড়া আশেপাশে থাকা অনেকগুলি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয়। তবে কাছে থাকা একটি মুসলিম বস্তিতে হাত দেয়নি দাঙ্গাকারী মুসলমানরা। স্থানীয় হিন্দুরা জানিয়েছেন যে মুসলিমরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হিন্দুদের আক্রমণ করার মানসিকতা নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশবাহিনী ও RAF ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ডাঙায় উন্মত্ত মুসলিম জনতাকে হঠিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা হিন্দু সংহতির প্রতিনিধিকে এও জানিয়েছেন যে, পুলিশ যদি লাঠিচার্জ করে মুসলিম জনতাকে না সরিয়ে দিতো,তাহলে তমলুকের বুকে আর একটা ধুলাগড় হয়ে যেতে পারতো।
মেদিনীপুরের স্কুলে মুসলিম ছাত্রের মৃত্যু, হিন্দু বাড়িঘর-দোকানে আগুন দিলো মুসলিম জনতা
