পুলিশ, সেনা ও আধাসেনার মিলিত অভিযানে বড় সাফল্য। গত ৩রা ফেব্রুয়ারী, শনিবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হল পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লস্কর-ই-তোইবার দুই জঙ্গিকে। শুধু তাই নয়, বৈধ ভিসার মাধ্যমে এই দুই জঙ্গি পাকিস্তান গিয়েছিল অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে। পুলিশের দাবি, ধৃত জঙ্গিদের ভিসার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল দিল্লির পাকিস্তানি হাই কমিশন। যাতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পর এরা কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা চালাতে পারে। জেরার মুখে পড়ে গোটা চক্রান্তের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে দুই জঙ্গি।
এদিন পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সিআরপিএফ মিলিতভাবে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া এই দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। শ্রীনগরে পুলিশের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া ও ফিরে এসে উপত্যকায় হামলা চালানোর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাদের ভিসা দেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে ফিরে আসে। কিন্তু কাশ্মীরের জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের নাম আব্দুল মজিদ ভাট ও মহম্মদ আশরাফ মির।
পুলিশের জেরার মুখে পড়ে ধৃতরা জানিয়েছে, পাকিস্তানে একঝাঁক পাক বালকের সঙ্গেই অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়েছিল তাদের। প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকা অধিকাংশ পাক বালকের বয়স ১০ বছরের আশপাশে। তারা বালুচিস্তানের বাসিন্দা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি গড়ে উঠেছে ইসালামাবাদের কাছাকাছি একটি জায়গায়। ধৃত লস্কর জঙ্গিরা জেরায় আরও জানিয়েছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের এই শিবিরগুলি চলে লস্করের এক কমান্ডারের অধীনে। এই কমান্ডারের আবার তিনটি কোড নেম রয়েছে। হানজালা, আদানান ও ওমর। শুধু তাই নয়, অল্প বয়সি ছেলেদের যে জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, কোড নেম রয়েছে তাদেরও। যেমন, ওসামা, নাভিদ ও হাতাফ। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।