জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় গত ১৮ই ডিসেম্বর, সোমবার রাতভর অভিযানে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে জয়েশ-ই-মহম্মদের দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলাও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীও এই অভিযানে আহত হয়েছেন। পুলিশের তরফে মঙ্গলবার এই খবর দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সোমবার বিকেলে সোপিয়ানের ওয়ানিপোরা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জঙ্গিরা আচমকা গুলি চালাতে শুরু করলে নিরাপত্তারক্ষীদের তরফেও পাল্টা আক্রমণ করা হয়। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, দুই জঙ্গি নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মারা গেলেও তৃতীয় এক জঙ্গি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মৃত দুই জয়েশ জঙ্গির নাম তনভির আহমেদ এবং আলি ওরফে কোয়ারি। তনভির সোপিয়ানের বাটা মুরানের বাসিন্দা। কিন্তু আলি বিদেশি। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি একে রাইফেল এবং প্রচুর গুলি উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, দু’পক্ষের পক্ষে গুলির লড়াইয়ে রুবি নামের এক মহিলা গুরুতর জখম হন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পুলওয়ামা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। রুবি হলেন মনজুর আহমেদ মিরের স্ত্রী। কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে ওই মহিলা গুলিবিদ্ধ হলেন এবং মারা গেলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তারক্ষীরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। পুলিশ কর্তাটি জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় সাধারণ মানুষের কখনই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়া উচিত নয়। তাতে জীবনের ঝুঁকি থাকেই। এক্ষেত্রে যেমন এক মহিলার মৃত্যু হল। যা কখনই কাঙ্খিত নয়। প্রসঙ্গত, এদিন ন’জন সাধারণ মানুষ চোট পেয়েছেন। তবে, তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।
সোপিয়ানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে হত দুই জয়েশ জঙ্গি
