হিন্দুদের ধংস করতে ভারতীয় মুসলিমরা ‘জেহাদে’ যোগ দিন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তির দিন এই বার্তা এল আল-কায়েদার তরফে। ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি একটি অনলাইন বার্তায় এই জেহাদের ডাক দিয়েছে কাশ্মীরে আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন অনসার-ঘাজওয়া’তুল-হিন্দ। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, লক্ষ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত হিন্দুরা তাদের কৌশল বদলাতে থাকবে। আর তাদের মোদ্দা লক্ষ হল একটি মুসলিমও যাতে জীবিত না থাকে। তা সে শিশু হোক বা বয়স্ক, পুরুষ হোক বা মহিলা।
কাশ্মীরে আল-কায়েদার এই নয়া সহযোগী সংগঠনটি তৈরি হয় চলতি বছরের গোড়ার দিকে। উপত্যকায় সক্রিয় হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈবা থেকে বেরিয়ে আসা ক্যাডাররা এই সংগঠনটি তৈরি করেছে বলে রিপোর্ট। বুধবার অনলাইন ফিডের মাধ্যমে আল-কায়দার এই সহযোগী সংগঠনের তরফে এই জেহাদি বার্তা দেওয়া হল। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি হিসেবেই আজকের দিনটিকে তারা বেছে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই অনলাইন বার্তায় বলা হয়েছে, জেহাদের স্বার্থে প্রতিটি ভারতীয় মুসলিমের ঘর ছাড়ার জন্য তৈরি থাকা উচিত। কারণ ‘শত্রু’রা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বার্তাটি পাঠ করতে শোনা গিয়েছে এক জেহাদিকে। সুলতান জাবুল আল-হিন্দি ছদ্মনামে। বাচনভঙ্গি ও উচ্চারণ থেকে স্পষ্ট, সে মোটেও কোনও হিন্দিভাষী নয়। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, কমান্ডার জাকির ভাট বা জাকির মুসার নেতৃত্বে সক্রিয় আল-কায়েদার এই সহযোগী সংগঠনটিতে কাশ্মীরের বাইরের কোনও ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। কিন্তু বার্তা পাঠকের নামের মধ্যে ‘জাবুল’ শব্দটি থাকায় সে সম্ভবত দক্ষিণ আফগানিস্তানে সক্রিয় ছিল বা এখনও রয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলছে। চলতি মাসেই আফগানিস্তানের জাবুল, গজনি ও পাকটিকা প্রদেশে মার্কিন ও আফগান বাহিনী অভিযান চালিয়ে বহু জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রধান সানা উল-হকের অন্যতম সহযোগী ওমর মনসুর আফগানিস্তানের ওই অভিযানে মারা যায় বলে খবর। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন সহ ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ফেরার সদস্যরা আফগানিস্তানে গিয়ে আল-কায়েদার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক সম্পর্কে ওই প্রশিক্ষণ হয়েছে। পাশাপাশি কেরল ও মহারাষ্ট্রের কিছু জেহাদিও ওইসব এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে খবর। যদিও দেশের বাইরের কেউ আনসার ঘাজওয়া’তুল-হিন্দের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে, তা এই প্রথম প্রকাশ্যে এল।