নদীয়া জেলার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত বৈকারা গ্রাম। গ্রামের হিন্দু জন সাধারণ প্রতি বছরের মতো এবছরও কালীপূজার আয়োজন করছিলো। কিন্তু মুসলিমদের বাধার মুখে এবছরের মা কালীর আরাধনা বন্ধ হতে বসেছিল। এই খবর হিন্দু সংহতির কর্মীদের কানে যেতেই, তারা রুখে দাঁড়ায়। হিন্দুসংহতির প্রায় ১৫০ জন কর্মী এলাকার হিন্দু সংহতির প্রমুখ কর্মী পাঁচু গোপাল মন্ডলের নেতৃত্বে এলাকায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে পুজোর মণ্ডপ-প্যান্ডেল নির্মাণ করায়। তারপর সংহতি কর্মীরা কাছের হরিণঘাটা বাজারে গিয়ে ঘুরে ঘুরে সব হিন্দু দোকান থেকে সাহায্য সংগ্রহ করে। ফলে এইবছর সুষ্ঠভাবে কালীপূজা সম্পন্ন হলো। তবে এই পূজাতে গ্রামবাসীরা সংহতি সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানায়।গত ২০শে অক্টোবর,শুক্রবার পূজাতে উপস্থিত হওয়ার পথে বৈকারা গ্রামে ঢোকার মুখে স্থানীয় প্রায় ৩০০ মুসলিম জনতা সংহতি সভাপতির গাড়ি ঘিরে ধরে। দেবতনু ভট্টাচার্য মহাশয়ের সঙ্গে ছিলেন হিন্দু সংহতির কোষাধক্ষ্য শ্রী সুজিত মাইতি মহাশয়। উভয়ের মধ্যে বচসা হয় এবং এতে সুজিত মাইতি মহাশয় একটু আঘাতপ্রাপ্ত হন। এবিষয়ে দেবতনু ভট্টাচার্য মহাশয় বলেন ”যেখানে হিন্দুরা নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে, তাঁরা আমার প্রেরণার উৎস। সেই লড়াইয়ের মাটি আমার কাছে তীর্থভূমি। তাই গিয়েছিলাম তীর্থদর্শনে প্রেরণা নিতে। জেহাদীরা প্রস্তুত ছিল। আশপাশ থেকে জমায়েত হয়ে অপেক্ষা করছিল। পরাজয়ের গ্লানি। মাইক বাজিয়ে পূজা চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিক্রিয়া হবে! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ওরা তিনশ, আমরা চার। স্থানীয় ছেলেরা নতুন, তাই চাপ নিতে না পারায় দূরে সরে গেছে। অথচ সামনা সামনি গায়ে হাত দেওয়ার সাহস অতগুলো মোল্লার মধ্যে একজনেরও হলো না ! অনেক হম্বিতম্বি, কিন্তু শেষে আক্রমণ হলো পিছন থেকে। যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছি, তখন। সুজিতদার একটু চোট লেগেছে”।
বন্ধ হতে চলা কালীপূজা করালো হিন্দু সংহতির কর্মীরা
